Logo

অর্থনীতি    >>   পলিথিন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে কঠোর মনিটরিং শুরু, পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ

পলিথিন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে কঠোর মনিটরিং শুরু, পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ

পলিথিন বন্ধে ১ নভেম্বর থেকে কঠোর মনিটরিং শুরু, পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহ

১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং কার্যক্রম শুরু করবে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রবিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শুধু পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধ করা হবে এবং কোনো সুপারশপ পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় 'পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০' বাস্তবায়ন এবং জনগণকে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মানুষ যদি পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে, তাহলে এর উৎপাদনও বন্ধ হবে। জনগণকে সচেতন করে পলিথিনের ব্যবহার কমাতে হবে।” এছাড়াও, সুপারশপে পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং পাটের ব্যাগের সহনীয় মূল্য নিশ্চিতের ওপর জোর দেন তিনি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পাটের ব্যাগ ব্যবহারের পরিমাণ বাড়াতে এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা হবে।” তিনি বলেন, “পাটকে উৎসাহিত করার জন্য জিআই এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে ‘গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ’ নামে পাটের জিআই স্বীকৃতি পাবে।”

এসময় সভায় জুট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা জানান, দেশের ৩০০ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পাটের ব্যাগ ও বস্তা সরবরাহে প্রস্তুত রয়েছে এবং কোনো সংকট দেখা দেবে না। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে প্রতিটি খাতেই পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সভায় উপস্থিত পরিবেশ উপদেষ্টা পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে বলেন, “রক্ত, মায়ের দুধ এবং খাদ্য উপাদানে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। পলিথিনের বিপদ বুঝে মানুষ যেন এর ব্যবহার থেকে সরে আসে, সেই সচেতনতা বাড়াতে হবে।”